শীততাপ নিয়ন্ত্রিত নয়া লঞ্চ পরিষেবা চালু : চন্দননগর থেকে মিলেনিয়াম পার্ক ভায়া শেওড়াফুলি

1st July 2020 10:44 am হুগলী
শীততাপ নিয়ন্ত্রিত নয়া লঞ্চ পরিষেবা চালু :  চন্দননগর থেকে মিলেনিয়াম পার্ক ভায়া শেওড়াফুলি


নিজস্ব সংবাদদাতা ( চন্দননগর ) : চন্দননগর থেকে সোজা মিলেনিয়াম পার্ক। এবার দ্রুতগামী লঞ্চে মাত্র দেড় ঘন্টায় পৌঁছনো যাবে কোলকাতা। রাজ্য পরিবহন দপ্তরের সহায়তায় একটি বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে আজ থেকে চলবে এই লঞ্চ। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এই লঞ্চে আপাতত ১০০ আসনে যাত্রী নেওয়া হবে। ভাড়া ধার্য করা হয়েছে ৩২০ টাকা। পরবর্তী সময়ে ১৫৬ আসনে যাত্রী পরিবহণ চালু হলে ভাড়া কমিয়ে ২৫০ টাকা করে দেওয়া হবে। দ্রুতগামী লঞ্চে কোলকাতা পৌঁছতেও সময় লাগবে দেড় ঘন্টা, মাঝে এক বার দাঁড়াবে শেওড়াফুলি ফেরী ঘাটে। সপ্তাহে মঙ্গলবার, বুধবার এবং শুক্রবার ছাড়ায় কথা ভাবা হয়েছে। যাত্রী সংখ্য বাড়লে প্রতিদিন চালানো হবে বলে জানান কর্তৃপক্ষ । সকাল ৮ টায় ছাড়বে চন্দননগর থেকে মিলেনিয়াম পার্কে পৌঁড়াবে ৯:৪৫ মিনিটে। মিলেনিয়াম পার্ক থেকে বিকেল ৪ টের সময় ছাড়বে চন্দননগর আসবে ৫: ৪৫ মিনিটে।  কলকাতা যেতে যারা সমস্যায় পড়েছেন মূলত তাদের কথা ভেবেই আপাতত চালু হচ্ছে দ্রুতগামী এই লঞ্চ পরিষেবা। পরবর্তী সময়ে এই লঞ্চকে পর্যটন ক্ষেত্রে কাজে লাগানো হবে। লকডাউনে অফিস যাত্রীদের কথা চিন্তা করে এর আগে হুগলির শেওড়াফুলি, শ্রীরামপুর, উত্তরপাড়া থেকে লঞ্চ পরিষেবা চালু হয়েছে। তাতে ভাড়া কম হলেও সময় লাগছে বেশি। তাই এই হাইস্পিড লঞ্চে দের ঘন্টায় কলকাতা পৌঁছনোর ব্যবস্থা করা হলো। চন্দননগর সহ হুগলি জেলার মানুষের সুবিধা হবে বলে জানিয়েছেন পুর কমিশনার। www.ospreyindia.com থেকে অন লাইনে টিকিট বুক করা যাবে।চন্দননগর ছেড়ে শেওড়াফুলি  ঘাটে স্টপেজ দেবে দ্রুতগামী এই লঞ্চ।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।